ভুতের গল্প

                                                  ভুতের গল্প 

একবার এক গ্রামে ছিল এক পুরানো জমিদার বাড়ি। বাড়িটি অনেক পুরনো, ভাঙাচুরা ছিল আর জনশূন্য হয়ে পড়েছিল। গ্রামের লোকেরা বলত, রাতে ওই বাড়ির ভেতর অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায়, কখনও কাঁদার শব্দ, কখনও বা কাউকে হাঁটতে দেখার মতো!

একদিন, দুই বন্ধু – রাহুল আর সোহেল – ঠিক করল, তারা রাতের বেলা ওই বাড়িতে যাবে। তারা একদম রাত ১২টা বেজে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে পৌঁছাল। বাড়ির ভেতরে ঢুকে তারা খুব সাবধানে হাঁটতে থাকল। তাদের পায়ের আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছিল না।

                                                                   

কিন্তু হঠাৎ, তারা এক কক্ষে ঢুকে দেখল সেখানে একটা পুরনো ছবি ঝুলছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক নারী, যার চোখে যেন কিছু একটা কষ্টের ছাপ ছিল। ছবির নিচে লেখা ছিল – "কোনো সময় ফিরে আসবে, তবে আমার সঙ্গে বাঁচবে না।"

রাহুল আর সোহেল কিছু বুঝে ওঠার আগেই, তারা একটি শব্দ শুনল, যেন কেউ তাদের পিছনে হাঁটছে। তারা তাড়াতাড়ি পিছনে ফিরে দেখল, কিন্তু কিছুই ছিল না। কিন্তু সোহেল একে একে বেশ কিছু ধোঁয়া দেখতে পেল, এবং ধোঁয়ার ভেতর একটা চেহারা দেখতে পেল। একটা ভুতুড়ে নারী, তার চোখগুলো ছিল শূন্য, গা থেকে তেজ বের হচ্ছিল!

এক মুহূর্তে সেই নারী তাদের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করল। তাদের হৃৎপিণ্ডের আওয়াজ আরও জোরালো হয়ে উঠছিল। তারা দৌড়ে বাড়ির বাইরে চলে এল, কিন্তু সে নারীর আওয়াজ তাদের পেছনে শোনা যাচ্ছিল, "তোমরা চলে যাচ্ছো, কিন্তু আমি যাব না!"

এর পর থেকে গ্রামে সেই বাড়ির কথা কেউ আর মুখে নিয়ে আসে না। এবং যারা একবার সেখানে গিয়েছিল, তারা জীবনে আর কখনও সেসব রাতে শান্তি পায়নি।

এখনও, যারা সেই বাড়ির আশেপাশে যায়, তারা সেই নারীর মুখের স্মৃতি ভুলতে পারে না!


Post a Comment

Previous Post Next Post